১৯৪৭ সালের ১৪ই আগষ্ট পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হলো। আমি তখন কৃষ্ণনগর কলেজে। প্রাথমিক ভাগ অনুসারে নদীয়া এবং মুর্শিদাবাদ পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত ছিল। সুতরাং নদীয়া জেলার প্রধান সহর হিসেবে কৃষ্ণনগরও পাকিস্তানে পড়লো। আমরা কৃষ্ণনগর কলেজে পাকিস্তানী পতাকা তুললাম। ডিষ্ট্ৰীক্ট ম্যাজিষ্ট্রেট ছিলেন নাসিরউদ্দিন সাহেব। বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী সাহেবের শ্বশুর। তিনি নিজে এসে আনন্দের সঙ্গে কলেজে পাকিস্তানী পতাকা উড়িয়ে গেলেন। তিনদিন পরে র্যাডক্লিফ রোয়েদাদে সব বানচাল হয়ে গেল। নদীয়া মুর্শিদাবাদ পশ্চিম বাংলার অন্তর্ভুক্ত হলো। আমাদেরও কৃষ্ণনগর ছেড়ে আসতে হলো। আমার জায়গায় লোক না আসা পর্যন্ত আমি কৃষ্ণনগর ছাড়তে পারলাম না। মনে আছে ১১ই সেপ্টেম্বর তারিখে আমি রাজশাহী কলেজে যোগ দিলাম। ইদরিস আলী সাহেব আমার কিছু আগে কি পরে রাজশাহী কলেজে যোগ দিয়েছিলেন। রাজশাহী কলেজে বাংলার অধ্যাপকদের জন্য একটি বি.ই.এ. পোষ্ট ছিল। এই পোষ্টটির জন্য অধ্যাপক মনসুর উদ্দীন, অধ্যাপক আবুল ফজল, অধ্যাপক ইদরিস আলী, আমি এবং আরো কেউ কেউ চট্টগ্রামে ডি.পি.আই. অফিসে ইন্টারভিউ দিলাম। প্রথম নমিনেশান পেয়েছিলেন অধ্যাপক মনসুর উদ্দীন, দ্বিতীয় নমিনেশন আমি, তৃতীয় ইদরিস আলী সাহেব। ইন্টারভিউ-এর পর রাজশাহী ফিরে এলাম। বারবার মনে হতে লাগলো কোনো ক্রমে মনসুর উদ্দীন সাহেব যদি না আসেন কিংবা তাঁর সিলেট কি চট্টগ্রাম কলেজেই যদি চাকুরীটা হয়ে যায় তাহলে উনি রাজশাহী আর আসবেন না। এভাবে মাঝে মাঝে এরকম ক্ষীণ আশা জাগতো সম্ভবতঃ রাজশাহী কলেজের বি.ই.এস. পোষ্টটা আমার ভাগ্যেই জুটবে। এমন সময় একদিন শুনলাম ডক্টর এনামুল হক আসছেন রাজশাহী কলেজে বাংলার প্রফেসর হয়ে। আমাদের জল্পনা কল্পনার অবসান করে উনি একদিন সত্যি সত্যি রাজশাহী কলেজে এসে উপস্থিত হলেন। এনামুল হক সাহেবের এর আগে নাম শুনেছিলাম। তাঁকে দেখার সুযোগ ও সৌভাগ্য হয়নি। উনি বাংলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক হিসেবে রাজশাহী কলেজে যোগ দিলেন। ইদরিস আলী সাহেব, পরেশচন্দ্র ভট্টাচার্য, শিব প্রসন্ন লাহিড়ী এবং আমাকে নিয়ে চারজন আর ডক্টর এনামুল হক—আমরা পাঁচজনে রাজশাহী কলেজে বাংলা বিভাগে অধ্যাপনা করছিলাম। ডক্টর হক একে তো রাশভারী লোক, তার পর বাংলা সাহিত্যের ডক্টর, আমাদের সঙ্গে না জানি বা কেমন ব্যবহার করেন, আমাদের মনে এজন্যে বেশ একটা শঙ্কা ছিল। কিন্তু যতই দিন যায় ততই দেখি উনি আমাদের সঙ্গে অধ্যক্ষের মত ব্যবহার করতেন না, করতেন বন্ধুর মত ব্যবহার। ক্লাস ভাগ করা, রুটিন করা থেকে শুরু করে পড়া এবং পড়ানোর ব্যাপারে উদার ব্যবহার করতেন। ছাত্রদের যাতে অসুবিধা না হয়, বা তাদের পড়াশোনার ক্ষতি না হয় সেদিকেও সতর্ক দৃষ্টি রাখতেন। বিভাগের প্রধান হিসেবে তিনি ছিলেন Hard fask master, কিন্তু সহকর্মীদের সঙ্গে ব্যবহারে তিনি ছিলেন অকৃত্রিম ও সহৃদয় বন্ধু।
ওরা যখন সকলেই রাজশাহী কলেজে সে সময়ে অর্থাৎ ১৯৪৯ সালের ফেব্রুয়ারীর দিকে আমার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার কথা হচ্ছিল। ডক্টর মোমতাজুদ্দিন আহমদ তখন রাজশাহী কলেজের প্রিন্সিপাল। আমি স্থায়ী সরকারী চাকুরী ছেড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকুরীতে আসবো কি আসবো না এ নিয়ে দ্বিধা দ্বন্দে জর্জরিত হচ্ছি। একবার আসবো আর একবার আসবো না এ ধরনের সংশয়ে চিত্ত যখন দোল খাচ্ছে, সে সময়ে উক্টর হক এবং ডক্টর মোমতাজুদ্দিন আমাকে সিদ্ধান্ত নিতে সাহস দিয়েছিলেন। তখন আমার বয়স ছিল কম। ক্যারিয়ারের প্রথম দিকে একটা রিস্ক নিতেই হবে। কথায় বলে না যে ‘No risk no gain’—এ প্রবাদের সত্যতা যাচাই করতে হলে ওঁরা আমাকে বললেন, কলেজের চাকুরী ছেড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার আসা উচিৎ। পড়াশোনার অভ্যাস ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ে সেদিক থেকে পড়াশোনা এবং বই পুস্তক লেখার সুযোগ পাওয়া যাবে। এ ধরনের উৎসাহব্যঞ্জক কথাবার্তা বলে ডক্টর এনামুল হক আমাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকুরী গ্রহণ করার জন্য সেদিন যথারীতি উৎসাহ দিয়ে বন্ধুর কাজ করেছিলেন। আমি ১৯৪৯ সালের দোসরা মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিয়েছিলাম।
আমি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিলেত গেলাম। সরকারী চাকুরী করার সময় সরকারের কাছে আমার প্রভিডেন্ট ফাণ্ডের কিছু টাকা পাওনা হয়েছিল। বিলেত থেকে আমি এ.জি.বি. কে খুব লেখালেখি করায় অবশেষে রাজশাহী কলেজ অফিসে সে টাকা পৌঁছল। আমার এমন কেউ ছিল না যিনি ও টাকা উঠিয়ে আমার স্ত্রীর হাতে দিতে পারেন। বিলেত থেকে এনামুল হক সাহেবকে লিখলাম। উনি অন্তরঙ্গ বন্ধুর মতো নিজের মতো করে আমার এ কাজটি করেছিলেন। কলেজ অফিস থেকে টাকাটা উঠিয়ে আমার স্ত্রীর হাতে দিয়ে আমাকে নিশ্চিন্ত করেছিলেন।
আমি ১৯৫৩ সালের জানুয়ারী মাসে দেশে ফিরলাম। উনি তখনও রাজশাহী কলেজে। মাঝে মাঝে দেখা সাক্ষাৎ হয়েছে। দু’একবার ওঁকে বোর্ডের ম্যাট্রিকের হেড-একজামিনার হিসেবে পেয়েছি। রাজশাহী গেলে দেখা সাক্ষাৎ হয়েছে। এর পর ওঁকে ঘনিষ্ঠভাবে পাই বাংলা একাডেমীর পরিচালক হিসেবে। ওঁর আমলে বাংলা একাডেমীর পরিচালকের কাজ বেশ কঠিন ছিল। একাডেমীর কাউন্সিল সদস্যদের মধ্যে যাঁরা ছিলেন নির্বাচিত তাঁরা কিছুটা দলীয় মনোভাব নিয়ে একাডেমীর কাজকাম করাতে চাইতেন। এমতাবস্থায় পরিচালকের কাজ বড় সহজ ছিল না। কিন্তু ডক্টর হক ধীরস্থির ভাবে সমস্ত সমস্যার মোকাবিলা করতেন। তাঁর আমলেই বাংলা একাডেমী প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করে। ডক্টর এনামুল হকের সৌভাগ্য কি দুর্ভাগ্য বলতে পারি না, তাঁকে বহু নতুন প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হয়েছে। তার আমলে বাংলা একাডেমীর বিভিন্ন বিভাগে অফিসার নিয়োগ করা হয় এবং বিভাগগুলো চালু হয়। বই পুস্তকও তাঁর আমলে প্রথম প্রকাশিত হতে থাকে। বাংলা একাডেমী বিভিন্ন বিষয়ের পরিভাষা তৈরীর কাজ শুরু করেছিলেন, সেটিও তাঁর আমলে এবং তাঁর নিজস্ব প্রয়াসে সম্ভব হয়েছিল। মনে আছে চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষা তৈরী হচ্ছিল। ডাক্তার নন্দী প্রমুখ কয়েকজন ডাক্তার এ বিজ্ঞানের পরিভাষা তৈরী করতেন। তাঁরা একাডেমীতে আসতেন বিকেলে এবং রাত্রি গোটা নয়-দশ পর্যন্ত পরিভাষা তৈরী করতেন। ডক্টর হক তাঁদের সঙ্গেই থাকতেন। তাঁরা যে সব শব্দ বাছাই করতেন সেগুলোর বিশুদ্ধ রূপ দিতেন তিনি। শুধু চাকুরী করা নয়। যে কাজের দায়িত্ব নিয়েছিলেন সে কাজকে ভালোবাসা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে তা সম্পন্ন করা ডক্টর হকের চরিত্রের একটি বৈশিষ্ট্য।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ অবসর গ্রহণ করলে ডক্টর হক বাংলার প্রফেসর ও অধ্যক্ষ হয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন। সেখানে যোগ্যতার সঙ্গে বিভাগটি গড়ে তোলেন। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সঙ্গে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগিতার সূত্রে পরীক্ষা ইত্যাদি ব্যাপারে ডক্টর হকের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পাই। এ ব্যাপারেও তাঁর কর্মদক্ষতার পরিচয় পাই। সুশৃঙ্খল ভাবে তিনি সমস্ত কাজ গুছিয়ে রাখতেন। তাতে অহেতুক সময় নষ্ট করতে হতো না।
এর পরে তাঁকে পাই কেন্দ্রীয় বাংলা উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান রূপে। বোর্ড সৃষ্টি হবার সময় পরিচালক অনুসন্ধানের পালা চলে। শুরুতে বিচারপতি মুর্শেদ ছিলেন বোর্ডের চেয়ারম্যান। তিনি ডক্টর হকের নাম দেন। কেন্দ্রীয় সরকার তাঁর সুপারিশ অনুমোদন করেন। কেন্দ্রীয় বাংলা উন্নয়ন বোর্ডের সৃষ্টি থেকে নিয়ে বর্তমান বছরে দ্বিতীয় পরিচালক ডক্টর আশরাফ সিদ্দিকীর নিয়োগের সময় পর্যন্ত ডক্টর হক এ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। বাংলা একাডেমীর তিনি ছিলেন প্রথম পরিচালক। বিশেষ অফিসার বরকতুল্লাহ সাহেবের পর তিনি এসেছিলেন। একাডেমীর প্রাতিষ্ঠানিক রূপ তাঁকে দিতে হয়েছিল। কেন্দ্রীয় বাংলা উন্নয়ন বোর্ডেরও তিনি প্রথম পরিচালক। বাড়ী নেই, ঘর নেই, অফিস নেই। কাগজ ও ফাইল পত্রও নেই। তিনি উপযুক্ত কর্ণধার হিসেবে সব কিছু গড়ে তুললেন। বাংলা উন্নয়ন বোর্ড তাঁরই তত্ত্বাবধানে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেল। বিচারপতি মুর্শেদ প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত হবার পর বাংলা বোর্ডের চেয়ারম্যানপদ তিনি ছেড়ে দিলে বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী চেয়ারম্যান হন। তাঁর ও তাঁর পিতা মরহুম আবদুল হামিদ চৌধুরীর সহযোগিতায় তিনি মুক্তাগাছার জমিদারের বিরাট গ্রন্থাগারটি বাংলা বোর্ডের জন্য সংগ্রহ করে আনেন। অন্যান্য বহু কীর্তির মধ্যে বাংলা বোর্ডের জন্য ডক্টর এনামুল হকের এটি অন্যতম প্রধান কীর্তি।
বাংলা বোর্ডের প্রধান কাজ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে বাংলাকে শিক্ষার মাধ্যম করা। সেজন্য বিজ্ঞান এবং কলা বিভাগের বিভিন্ন বিষয়ে বাংলায় বই লেখানোর আয়োজন করা, পরিভাষা তৈরির কাজ ত্বরান্বিত করা, বাংলা বোর্ডের অন্যতম লক্ষ্য ছিল। তিনি এ কাজগুলি করতে এমনভাবে আত্মনিয়োগ করেছিলেন তাতে মনে হয়েছিল এগুলো যেন তাঁর নিজের কাজ। ডক্টর হকের চরিত্রের এটিই মহৎ গুণ।
৬২ বৎসর বয়সে দ্বিতীয় বারের জন্য তাঁর কর্মকাল আর বৃদ্ধি পেল না। এতে বোর্ডের যাঁরা সদস্য ছিলেন তাঁরা প্রত্যেকেই মনে মনে খুব ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। প্রত্যেকেই তদানীন্তন চেয়ারম্যান বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীকে কেন্দ্রীয় সরকারের শিক্ষা দফতরের নিকট ডক্টর এনামুল হকের কর্মকাল বাড়িয়ে দেবার জন্য সুপারিশ করতে বলেন। বিচারপতি চৌধুরীও আমাদের সকলের সঙ্গেই এবিষয়ে একমত ছিলেন। তিনি বার কয়েক লিখেছিলেনও। তাতে ডক্টর হক খুব বিব্রত বোধ করতেন। কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মকর্তারা পাছে এটা না ভাবেন যে, ডক্টর হকই তাঁর এক্সটেনশানের জন্য আমাদের দিয়ে তদ্বির করাচ্ছেন। শেষ পর্যন্ত তাঁর এক্সটেনশান আর হয় নি। কিন্তু কেন্দ্রীর সরকারের শিক্ষা দফতর বাংলা বোর্ডেই তাঁর আর্থিক নিশ্চয়তা বিধান করে উপযুক্ত ভাবে নিয়োগের ব্যবস্থা করবার নির্দেশ দেন। তদনুযায়ী তাঁকে বাংলা বোর্ডে উপদেষ্টা পদে নিয়োগ করা হয়। বাংলা বোর্ডের পরের ঘটনাবলীর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি তাঁর চাকুরীর জয়েনিং রিপোর্ট প্রত্যাহার করেন। বাংলা কেন্দ্রীয় উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক এ ভাবে শেষ হয়।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকুরীরত থাকলে তিনি ৬৫ বৎসর বয়স পর্যন্ত কাজ করতে পারতেন। তাতে তাঁর আর্থিক অবস্থা ৬৫ বছর পর্যন্ত অনেকটা সুনিশ্চিত থাকতো। আমি ডক্টর হককে জিজ্ঞেস করেছিলাম, অনেকটা অনিশ্চয়তার মধ্যে আপনি কেন বোর্ডে এসেছিলেন? উনি তাতে জওয়াব দিয়েছিলেন—‘আদর্শের জন্য। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত বাংলাকে শিক্ষার মাধ্যম করার ব্যবস্থা করার ভার স্বহস্তে নিয়ে তার জন্য সংগ্রাম করার সুযোগ পাবো। দেশে যদি সত্যি সত্যি কোনদিন বাংলা ভাষা উচ্চশিক্ষার মাধ্যম হয় সেদিন এর জন্য যারা এককালে প্রয়াস পেয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে আমিও প্রথম সারিতে ছিলাম—আর বড় কথা, আমাদের এ স্বপ্ন সফল হবে এ আশা নিয়ে কেন্দ্রীয় বাংলা উন্নয়ন বোর্ডে এসেছিলাম।’
ডক্টর এনামুল হকের চরিত্রে এ আদর্শবাদ তাঁকে আমাদের কাছে প্রিয়তর করেছে। তিনি ব্যক্তিগত লাভ ক্ষতির কথা খুব বেশি চিন্তা করেন নি। আদর্শের সাধনায় ব্যক্তিগত প্রশ্ন তাঁর কাছে বড় হয়ে ওঠেনি। ডক্টর এনামুল হকের মতো চরিত্রবান, আদর্শনিষ্ঠ ও কর্মপাগল লোক খুব কম পাওয়া যাবে। আমার কাছে তিনি থাকবেন বাকী জীবনের জন্য অকৃত্রিম বন্ধু এবং সুহৃদ।
মুহম্মদ আবদুল হাই রচনাবলী : হুমায়ুন আজাদ সম্পাদিত, তৃতীয় খণ্ড, বাংলা একাডেমী, ১৯৯৪, ৫৭১–৭৪ পৃষ্ঠা থেকে প্রবন্ধটি গৃহীত; বাংলা একাডেমির নিকট আমরা ঋণী।