স্মৃতিবিলাস : ষষ্ঠদশ পর্ব

0

পঞ্চদশ পর্বের পর…

 

ভাইয়া, আমি তোমার জন্য এখনও সবসময় একটাই দোয়া করি, যদি বেঁচে থাকো, তাহলে আল্লাহ যেন তোমাকে খুব ভালো রাখেন। আর যদি চিরতরে চলেই যাও, তাহলে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তোমাকে শ্রেষ্ঠতম জান্নাতের উত্তম জায়গায় যেন আশ্রয় দেন। এক অনন্য মেধা নিয়ে আল্লাহ পাক তোমাকে পাঠিয়েছিলেন আমাদের পরিবারে। বাকি আট ভাই-বোনের মেধা একসাথে জড় করলেও বোধহয় তোমার সমান হবে না!
সেবছর সরুই মাদ্রাসার মাহফিলে ফুরফুরা শরীফের হুজুর এসেছিলেন। প্রায় প্রতিবছরই শীতের দিকে উনারা আসতেন। মাহফিলের শেষদিকে একটা অন্যরকম আয়োজন ছিল। তোমার মাথায় পাগড়ি পরানো হবে। মাত্র ১১ বছর বয়সে তুমি পবিত্র কোরআন শরীফের পুরোটাই সুমধুর কন্ঠে খুব সাবলীলভাবে মুখস্থ বলে যেতে পারতে। বয়স ১১ হলেও আকৃতিতে আরও খানিকটা ছোট মনে হতো তোমাকে। তোমার ওস্তাদদের উপস্থিতিতে ফুরফুরা শরীফের হুজুর তোমাকে কোলে নিয়ে মাথায় পাগড়ি পরান। ঐ মাদ্রাসার প্রথম হাফেজ ছিলে তুমি। সবার কাছে খুব আদরের। আমরা তোমার কন্ঠে বারবার আজান শুনতে চাইতাম। আমাদের বাসায় কখনও টেলিভিশন ছিল না। কাঠের তৈরী অস্বাভাবিক বড় একটা রেডিও ছিল, আব্বা ওটাকে খবর শুনতেই বেশি ব্যবহার করতেন। তবুও তুমি যে ঐ বয়সে কিভাবে এত এত ব্যতিক্রমি সুরে আযান শিখেছিলে, কে জানে! কখনও মক্কার ধ্বনি, কখনওবা মদিনার। ঐ ছোট্ট বয়সেই তুমি তারাবীহ’র নামাজ পড়াতে যেতে কাড়াপাড়া জামে মসজিদে। আমাদের দেখা তুমিই বোধহয় সবচেয়ে ছোট ইমাম ছিলে। আমাদের মেজ-ভাই, হাফেজ আরিফুল ইসলাম। পরিবারের সবার টেনশন, তুমি সঠিকভাবে সমস্ত মুসল্লীকে সামলাতে পারবে তো!

 

অল্প সময়েই নিজের কর্মের দ্বারা তোমার অবস্থান মজবুত করে নিয়েছিলে। মানুষের মুখেমুখে তোমার নাম। রোজার মাসে সকাল থেকেই তোমার প্রস্তুতি শুরু হতো, পাশাপাশি ছিল পড়াশুনার চাপ। সে অনুযায়ী খাবার খেতে খুব কম। মা এসব নিয়ে খুব উদ্বিগ্ন থাকতেন। কি খাবে না খাবে সেই আশায় খাবার নিয়ে ছুটে বেড়াতেন তোমার পিছেপিছে। তুমি মা’কে বোঝাতে, কত বয়স্ক মানুষ তার বাড়ি থেকে নিজের গরুর দুধ গরম করে গ্লাস ভরে নিয়ে আসে, অনেকে ডিম সিদ্ধ করে আনে, গাছের ফল, পিঠা-পায়েস এনে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থেকে বলেন- ‘হুজুর একটু খাবেন। এজন্যই তো খিদে থাকে না, কত আর খাওয়া যায়।’

 

তুমি আমাকে খুব ভালোবাসতে। তারাবীহ’র নামাজ পড়ানো শুরু করার পর প্রতিবছরই ঈদের দিন তোমার দাওয়াত থাকতো কাড়াপাড়া জামে মসজিদ সংলগ্ন বড় একটা বাড়িতে। তুমি কখনও একা যেতে চাইতে না। আমাকে সাথে নিয়ে যেতে চাইলেই একলাফে তৈরী হতাম। কখনও রিকশায় চড়ে, কখনও সাইকেলে তোমার পিছে বসে যেতাম। কাড়াপাড়া বাজারের সামনে বিশাল একটা পুকুর ছিল, অনেকটা দীঘির মতো বড়। সেখানে লাল শাপলা ফুটে থাকতো। আমরা ফেরার পথে হেঁটেহেঁটে চারপাশ দেখতাম। সদ্য পাওয়া হাদিয়া থেকে এটা সেটা কিনেও দিতে।

 

প্রথম সাইকেল চালানো শেখার পর তুমি বারবার বলতে, চলো তোমাকে ঘুরিয়ে আনি। আমি ভয়ে কিছুতেই চড়তে চাইতাম না। একদিন তুমি জোর করেই সাথে নিয়ে গেলে। বাসা থেকে বের হয়ে ডানদিকে হালদার পুকুরের পাশ কেটে যাওয়ার সময় কেমন যেন ভয় ভয় করছিল। একটু পরেই ডানে বামে মোড়াতে মোড়াতে দু’জনেই ধপাস করে পড়ে গেলাম। রাস্তার বামপাশে তারকাটার বেড়া ঘেঁষে পড়াতে একটি কাঁটা আমার বামহাতের কনুইয়ের নিচে গেঁথে গিয়েছিল। তোমার সে কি আফসোস! নিমিষেই আমার ব্যথা ভালো হয়ে গিয়েছিল তোমার অপরাধবোধের ছোঁয়ায়। আজও ক্ষতচিহ্নটির দিকে দৃষ্টি পড়লে তোমার সেই মায়ামাখা মুখটা খুব মনে পড়ে, ভাইয়া। আমাদের দোতলা কাঠের বাড়িটির প্রত্যেকটি ঘরে ঈদের দিন অল্প হলেও ফুল দিয়ে সাজানো হতো। তখনকার সময়ে আমাদের পাড়ার প্রায় সব বাড়িতে অনেক অনেক ফুলের গাছ ছিল। ঈদের দিন খুব ভোরে আমরা কয়েকজন মিলে এর ওর বাগান থেকে কিছু ফুল সংগ্রহ করে আনতাম। ফুটবল খেলার অনেক শখ ছিল তোমার। চমৎকার খেলতে। মাঠে খেলতে খেলতেই হেফজ করতে, খেলা শেষ হলেই আবার পড়া দিতে পারতে।

 

মায়ের পেছনে ঘুরে বেড়াতে সবসময়। আজান দিলেই সবাইকে নামাজ পড়তে বলতে। পিঠা বানানোর সময় আমাদের সাথেই থাকতে। কিছুদিন পরপর বাড়িতে পিঠা বানানো হতো। সেমাই পিঠা, কুলি পিঠা… তুমি সহজ অথচ নতুন সব নিয়ম বের করতে। কম কথা বলতে। মাথা নিচু করে হাঁটতে সবসময়। বুবুর বাড়িতেও কখনও একা যেতে চাইতে না, বোনদের কেউ না কেউ সাথে যেতে হতো।

 

বাগেরহাট আলিয়া মাদ্রাসায় পড়াকালীন তোমার ভেতরে অনেক কষ্ট জমেছিল। দাখিল পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হবে, তুমি সারাদিন কানে রেডিও লাগিয়েছিলে। তুমি স্ট্যান্ড করার মতোই ছাত্র ছিলে নিঃসন্দেহে। কিন্তু মেধা তালিকায় তোমার নাম না পেয়ে অস্থির হয়ে গেলে। তোমার অবস্থা দেখে আব্বা ছুটে গেলেন বোর্ডে (ঢাকায় একটাই বোর্ড ছিল তখন মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড)। ওখানে খুঁজে খুঁজে আব্বার একজন ছাত্র পেলেন। তিনি অনেক কষ্ট করে খোঁজখবর নিয়ে এসে জানালেন, “আরিফ আপনার ছেলে? আগে জানলে ঠিক করা যেত। ওর কোন একটি খাতায় শিক্ষকের স্বাক্ষর না থাকায় রেজাল্ট উইথেল দেখানো হয়েছে। তা না হলে সে সম্মিলিত মেধা তালিকার প্রথম পাঁচজনের মধ্যে থাকতো। তবে ফলাফল প্রকাশ হয়েছে, এখন আর কিছু পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। আপাততঃ ওর রেজাল্ট ঠিক করে দেয়া হয়েছে, স্টার মার্কস সাথে আটটি লেটার।”

 

আব্বা সেটাই সাথে নিয়ে বাড়ি ফিরে এলেন। কিছু করারও ছিল না তাঁর। কিন্তু সেই থেকেই শুরু হয়েছিল আব্বার প্রতি তোমার অসন্তোষ। কিছুতেই আব্বাকে সহ্য করতে পারতে না তখন। তোমার হয়ত মনে হয়েছিল তোমার ফল বিপর্যয়ের জন্য আব্বা দায়ী। কোন বাবা যে কখনও তার সন্তানের খারাপ কোনকিছু চায় না, সেটা বোঝার ক্ষমতা লোপ পেয়েছিল। এমনকি কোন মেহমান বাসায় আসলে ভুলেও কেউ যদি তোমার রেজাল্টের কথা তুলতো, তাকে তুমি বাসা থেকে তাড়িয়ে দিতে।

 

 

আলিম পড়ার জন্য পুনরায় মাদ্রাসায় ভর্তি হতে হবে। কিছুতেই তোমাকে রাজি করানো গেল না। তোমার নানা অজুহাত, ওরা অনেকে মোজার ভেতর কিতাব নিয়ে পরীক্ষা দেয়। তাদের সাথে তুমি পড়বে না। শেষমেষ ভর্তি হলে সরকারী পিসি কলেজে, একাদশ শ্রেণিতে। তোমার মস্তিষ্ক যে ভেতরে ভেতরে এলোমেলো কাজ করছিল, সেটা বাড়ির কেউই বুঝতে পারেনি প্রথমে। দিনদিন সেটা স্পষ্ট হতে থাকে। কলেজে কোন এক মেয়ে তোমার সরলতার সুযোগ নিয়ে ব্যবহারিক খাতা নিয়ে আর ফেরত দেয়নি। সেই খাতা পুনরায় তৈরী করার সময় অনেক ঝামেলা করতে। ধীরেধীরে পড়াশুনার প্রতি তোমার আগ্রহ কমতে শুরু করে। সারাক্ষণ আয়নার সামনে বসে থাকতে। বিড়বিড় করে আপনমনে একাই কথা বলতে। গোসল, খাওয়া-দাওয়া সবকিছুতেই অনিয়ম। খাবারের সময় হলে একবার রুম থেকে বেরিয়ে খাবার ঘরে গিয়ে কিছু পছন্দ হলে খেয়ে এসে আবার নিজের ঘরে। ঐ সময়ে বাবা-মা’কে তুমি পুরোপুরি শত্রু মনে করতে।

 

 

যা হোক, ততোদিনে সবাই তোমার আচরণকে মানসিক অসুস্থতা হিসেবে বুঝতে পেরেছে। প্রথমে এলাকার ডাক্তার চিকিৎসা শুরু করেন। হয়ত বেশি করে ঘুমের অসুধ দিতেন। বেশিরভাগ সময় ঘুমিয়ে থাকতে । এরমধ্যেই চলে এলো তোমার এইচএসসি পরীক্ষার সময়। একদিন কার কাছ থেকে যেন জানতে পেরেছিলে, ফর্ম পূরণ করতে হবে। আব্বা জানতেন তোমার ঐ অবস্থায় পরীক্ষা দিয়ে আসলে খুব একটা কিছু হবে না, কতগুলো টাকা খরচ হবে কেবল। তাই তিনি না করেছিলেন সেবার পরীক্ষা দিতে। কিন্তু বাড়িতে ভাঙচুর, তোমার অতিরিক্ত অস্থিরতা ঠেকাতে শেষমেষ ফর্ম পূরণ করানো হয়েছিল। সবাইকে অবাক করে দিয়ে সেবারও তুমি প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছিলে।

 

তোমার মানসিক অসুস্থতার কারণে স্বাভাবিক পড়াশুনা করার মতো অবস্থা তখনও হয়নি তোমার। তোমাকে শান্ত রাখতে আব্বা পিসি কলেজের বাংলা বিভাগে ভর্তি করে দিলেন অনার্স প্রথম বর্ষে (তখন ঐ একটা বিষয়েই কেবল অনার্স চালু ছিল)। কায়কোবাদ স্যার বাংলা পড়াতেন। মাঝেমাঝে উনার কাছে যেতে, উনিও অনেক প্রশংসা করতেন তোমার। কেবল আব্বা, মা’র কোন কথা ভালো করে শুনতে চাইতে না। আমাকে তখনও আগের মতোই স্নেহ করতে। সামনে এলে হেসে কথা বলতে। তোমার নখ কেটে দিতাম। গোসল করতে সাহায্য করতাম। কিন্তু চুল কাটতে চাইতে না, চুলগুলো লম্বা হয়ে মাঝেমাঝে ঘাড় ছুঁয়ে যেত।

 

১৯৯৩এ আমি যখন বিএল কলেজে অনার্স পড়ি, ঐ সময়ে আব্বা খুলনায় একটা ভালো ডাক্তারের খোঁজ পেয়েছিলেন। সেখানে তোমাকে চিকিৎসা করাতেন। তোমার মানসিক অবস্থার বেশ দ্রুত উন্নতি হচ্ছিল। প্রতিমাসে একবার চিকিৎসা শেষ করে আমার সঙ্গে আব্বা দেখা করতে আসতেন তোমাকে সাথে নিয়ে। তুমি আমার হাত ধরে বলতে, অনেক কষ্ট হচ্ছে তোমার? অনেক পড়াশুনার চাপ? এত কষ্ট করতে হবে না। আমার সাথে বাড়ি চলো।

 

তোমার আচরণ আর কথাবার্তায় অনেককিছু এলোমেলো ছিল। কিন্তু আত্মসম্মানবোধ ছিল অনন্য। তোমার সামনে অন্য কোন মানুষকে কেউ কখনও অসম্মান করে কথা বললে অনেক রেগে যেতে। শেষদিকে বাড়ির অনেক জিনিসপত্র নষ্ট করতে। আমাদের চিরচেনা আনন্দময় বাসাটি ঐসময় থমথমে থাকতো। আব্বার একটা বড় শীতের চাদর ছিল, কেউ একজন কোলকাতা থেকে এনে দিয়েছিলেন। হঠাৎ একদিন দেখি তুমি সেটা কেটে নিজ হাতে সেলাই করে শার্ট প্যান্ট বানিয়ে পরে আছো!

 

১৯৯৬ সালের ৬ আগস্ট, খুব ভোরে মা নামাজের জন্য উঠে দেখেন, সামনের দরজাটা খোলা। বারান্দার গ্রিলটাও খোলা। তোমার ঘরে গিয়ে দেখেন তুমি নেই। কোথায় গেল, কোথায় গেল…!
কোথাও তোমার খোঁজ পাওয়া গেল না। তোমার ঘরে সবকিছুই ছিল, শুধু পরনের পোশাক আর একটা ছাতা কেবল ছিল না। মুহূর্তেই তুমি হয়ে গেলে একেবারে নিরুদ্দেশ। চলে যাবার আগের রাতে গ্রাম থেকে এক ভাগ্নে এসেছিল আমাদের বাসায়। সে বলেছিল, তার পকেট থেকে না কি ৫০০ টাকা খুঁজে পাচ্ছে না। তোমাকে সেই টাকার জন্য সন্দেহ করা হয়েছিল। কয়েকবার বলাও হয়েছিল, টাকা না দিলে কিন্তু পুলিশ এসে ধরে নিয়ে যাবে!

 

সবাই দেখেছিল, রাতে খেয়ে ঘুমিয়েছিলে তুমি। কেউ দেখেনি, কতটা অভিমান জমেছিল তোমার বুকের গহীনে। কতটা অপমানে দগ্ধ হয়েছিল তোমার হৃদয়!
একটি ৫০০ টাকার নোটের জন্য আমরা চিরদিনের মতো হারিয়ে ফেললাম তোমাকে।
পরের কথাগুলো তুমিও জানলে না। তোমাকে হারানোর শোক আকাশে বাতাসে ছড়িয়ে পড়েছিল। আব্বা পাগলের মতো খুঁজেছেন তোমাকে, দৈনিক পত্রিকা থেকে প্রশাসন, ওঝা- কবিরাজ, দেশ-বিদেশ… কিছুই বাদ রাখেননি। মা বেঁচেছিলেন প্রায় তের বছর, কিন্তু কোন উত্সবের দিন মুখে খাবার দেননি, না জানি আরিফ কোথাও না খেয়ে আছে। কোথাও তোমার মতো দেখতে কারো খোঁজ পাওয়া গেছে শুনলে আমাদের সেখানে পাঠাতেন। প্রায়ই দিন মা খেয়ে, না খেয়ে রোজা রাখতেন। প্রতিবছর তোমার আলমারি খুলে জামা-কাপড়গুলো রোদ দিয়ে আবার গুছিয়ে রাখতেন। একটি মুহূর্তের জন্যও তোমার কথা ভোলেননি। তুমি কি মায়ের কথা মনে করেও ফিরে আসতে পারলে না!

 

 

তুমি তো জানতে, আমাদের পরিবারে আব্বা ছিলেন একটা মস্ত বড় পাহাড়। তিনি জানতেন, তিনি ভেঙ্গে পড়লে কেউ আর সোজা থাকতে পারবে না। তাই শেষ উনিশ বছর ধরে তিনি তোমাকে খুঁজে বেড়িয়েছেন একা একা। বিভিন্ন দূতাবাসে যোগাযোগ করেছেন। ভারতে কয়েক দফায় খোঁজ করতে গেছেন। মৃত্যুর আগেও তোমার কথা সবাইকে বলে গেছেন, সে ফিরে এলে তোমরা তাকে তার সঠিক হিসাব বুঝিয়ে দেবে সম্মানের সাথে।

 

 

তোমার আটটি ভাই-বোন প্রতিমুহূর্তে স্বপ্ন দেখে, তুমি একদিন ফিরে আসবে। এখনও তুমি আমাদের কলিজার ভেতরে একটা উজ্বল ক্ষত হয়ে আছো। যে ক্ষতটা কিছুতেই বিলীন হয়নি, হবেও না কোনদিন। আমাদের ছোটবেলার তেমন কোন ছবি নেই। বড় হয়ে তুমি একটা ছবি তুলেছিলে, একা। অনেকদিন বাদে সেই ছবিটা হাতে এলো। অনেকক্ষণ হাতে নিয়ে বসে আছি, আমার চোখেরপানি গলা বেয়ে নিচে নেমে যাচ্ছে অবিরত। তোমার আদরের অসহায় ছোট বোনটি তোমার জন্য দোয়া করছে, যদি বেঁচে থাকো, তাহলে আল্লাহ যেন তোমাকে খুব খুব ভালো রাখেন। আর যদি চিরতরে চলেই যাও, তাহলে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তোমাকে শ্রেষ্ঠতম জান্নাতের উত্তম জায়গায় যেন আশ্রয় দেন। আমীন।
চলবে…
আপনার মন্তব্য

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না