দশম পর্বের পর…
তবে ভাগ্যে বোধহয় একটানা সুখ লেখা ছিল না। কিছুদিনের মধ্যে আবার আশ্রয়স্থল নিয়ে ভাবনায় পড়ে গেলাম।
সকালে কলেজে যাবার আগে জালাল ভাইয়ের স্ত্রীর সাথে হাতে-হাতে কিছু কাজ গুছিয়ে দিয়ে তৈরী হতাম ক্লাসের জন্য। ভাবী অমায়িক স্বভাবের ছিলেন। কখনও কোন কাজের জন্য আমাকে জোর করতেন না। আমারই খারাপ লাগতো, মানুষটি পরিবারের আটজন মানুষের মুখে খাবারের আয়োজনের জন্য ভোর থেকেই কাজে লেগে যেতেন। উনার কোন হেল্পিংহ্যান্ডও ছিল না। সারাদিন একটার পর একটা কাজ কিন্তু কখনও বিরক্ত হতেন না, মিষ্টি হাসি লেগে থাকতো মুখে।
বৃষ্টির দিনে অনেক কষ্ট হতো আমার। এমনিতে টয়লেটের অবস্থা ভালো ছিল না, তারপর আবার ঘরের পেছন দিকে পানি উঠে যেত। ভেজা প্যাচপ্যাচে কাঁদা দেখে বেশ গুটিসুটি মেরে থাকতাম। ভাবী হয়ত বুঝতে পারতেন, উনার দেবর জাফর ভাই আবার কিছুটা দূরে কাস্টমস কোয়ার্টারে থাকতেন, মাঝে-মাঝে গোসলের জন্য আমাকে ঐ বাসায় নিয়ে যেতেন ভাবী। দিনগুলো চলছিল মোটামুটি ভালোই। দিনের বিভিন্ন প্রহরের মতো জীবনের মুহূর্তগুলো অভিজ্ঞতার সাদাকালো মেঘে কখনও শূন্যতা বোধ করতো, কখনও আবার তার মাঝেই পূর্ণতা খোঁজার চেষ্টা করে গিয়েছে।
কলেজ গেট থেকে লোকাল বাসে বৈকালী এসে নামতে হতো, তারপর কখনও হেঁটে-হেঁটে কখনওবা রিকশায় করে খালিশপুর কাস্টমস এরিয়ার মেইনগেটে এসে নামতাম। গেট থেকে জালাল ভাইয়ের বাসা (বাসা না বলে ঘর বলাই শ্রেয়) পর্যন্ত হেঁটে যেতে প্রায় ৭/৮ মিনিট লাগতো। বিশাল বড় একটা পুকুর ছিল। পুকুরের চারদিকে ছিল নিম্নশ্রেণির কর্মচারীদের নিজস্ব খরচে তৈরী ঘর। যে যেটুকু পেরেছে সেভাবেই ঘিরে নিয়ে ঘর তৈরী করেছে।
একদিন ক্লাস শেষে দুপুরের দিকে ফিরেছি, মেইন গেট থেকে বেশ ভীড়চোখে পড়লো। দ্রুত হেঁটে যাকে পাচ্ছি তাকেই জিজ্ঞেস করছি, কী হয়েছে? এত ভীড় কেন?
কেউ একজন বললেন, জালাল ড্রাইভার হার্টঅ্যাটাক করেছে।
এক দৌড়ে ঘরের কাছে গিয়ে দেখি কেউ নেই। আমাকে চেনে এমন কেউ একজন কাছে এসে বললো, “উনার ভাইয়ের বিল্ডিং এ রাখা হয়েছে, ওখানেই সবাই আছে। গাড়ি পেলেই বাড়িতে নিয়ে যাবে।”
একটু বিস্মিত হলাম, মানুষটা অসুস্থ, তাঁকে হাসপাতালে না নিয়ে বাড়ি কেন নিয়ে যাবে!
জাফর ভাইয়ের বাসার সামনে গিয়ে নিমিষেই সব স্পষ্ট হলো। আহা! মানুষটি বোধহয় আর ইহজগতে নেই। মারা গেছেন! বাসায় ঢোকার সিঁড়ির উপর হাত-পা ছড়িয়ে ভাবী বসে আছেন। উনার মুখে সবসময় লেগে থাকা হাসিটা যেন চিরদিনের মতো বিলীন হয়ে গেছে, কালোছায়া ঘেরা অচেনা দৃষ্টিতে চোখ পড়তেই বুকের ভেতরটা ব্যথায় হিম হয়ে এলো। কোথায় যেন থমকে আছে তাঁর সময়। আশেপাশের মহিলারা অনেকে বলছিলেন, মনি’র মাকে কেউ একটু কাঁদাতে পারো নাকি দেখো। এমন করে বরফ হয়ে আছে, তার না জানি কিছু হয়ে যায়।
এর আগে এত কাছে থেকে কোন মৃত মানুষকে সম্ভবত দেখিনি আমি। একটা মানুষের সাথে সকালে একসঙ্গে নাস্তা করে বেরিয়েছি, সে এখন চোখের সামনে একটা বস্তুর মতো পড়ে আছে! এটাই সত্য, চিরসত্য। কিন্তু ঐ সময়ে সেটা বোঝার বা মেনে নেবার মতো সামর্থ্য আমার ছিল না। আমি একপাশে দাঁড়িয়ে কাঁদছি, অন্তর থেকে ভীষণ কান্না পাচ্ছে একজন সত্যিকার মানুষের জন্য, যে মানুষটি একদিন আমাকে বোন বলে আশ্রয় দিয়েছিল।
কিছুক্ষণ বাদে একটা বড় মাইক্রোবাস এলো। জালাল ভাইয়ের ডেডবডিটা প্রথমে গাড়িতে তোলা হলো, একে একে বাচ্চারা, উনার দুই ভাই, ভাবীকে কয়েকজন ধরে উঠিয়ে দিল। উনি তখনও পাথরের মতো নিশ্চুপ হয়ে আছেন। আমি এখন কি করবো? আমাকে নিয়ে যিনি ভাবতেন তিনি আর নেই, কিছুক্ষণের জন্য নিজেকে সেখানে অবাঞ্চিত মনে হয়েছিল আমার। তবু তো যেতে হবে, একা এখানে থাকবো কোথায়? আমি নিজেই গাড়িতে গিয়ে উঠলাম। সেই রাতটা নোনাডাঙায় জালাল ভাইয়ের বাড়িতেই ছিলাম। অসম্পূর্ণ একটা একতলা বাড়ি। দুটো ঘরের কাজ কোনমতে শেষ করেছেন, স্বপ্ন দেখতেন মেয়ের বিয়ের আগে বাড়ির সম্পূর্ণ কাজ শেষ করবেন। ছেলেদুটো লেখাপড়া শেষ করে চাকরি করবে, উনি তখন আর লোকের গাড়ি চালাবেন না, বলেই ভাবীর কাঁধের উপর হাত রেখে হা..হা.. করে হাসতেন। স্বপ্নবাজ মানুষটি নিথর দেহে শুয়ে আছে বাড়ির সামনের উঠোনে, বারান্দার এককোণে তার স্ত্রী একটা চেয়ারে নিরব পাথরের মতো বসে আছে।
সেদিনই আমি প্রথম জেনেছিলাম, জীবনে সবচেয়ে আপন মানুষটি মৃত্যুর সাথে-সাথে পরপুরুষ হয়ে যায়।
তাকে দেখা বা ছোঁয়ার ক্ষমতা তার স্ত্রীর নেই। এমন সব কঠিন বাস্তবতার মধ্য দিয়ে রাতটা অনেক কষ্টে কেটে গেল। সকালের আলো ফুটতেই একটা রিকশা নিয়ে আমাদের বাসায় ফিরলাম। ভেতরে চেপে রাখা কান্না মাকে জড়িয়ে ধরে একবারে যেন সব বেরিয়ে এলো। বাসার সবাই হতভম্বের মতো জিজ্ঞেস করছে, কি হয়েছে তোমার?
আব্বা জানাজায় উপস্থিত হয়েছিলেন। দোয়ার অনুষ্ঠানে আমিও গিয়েছিলাম, রাস্তার পাশে একটা নতুন কবর, মানুষটির সাথে তিনদিন আগে সকালবেলা নাস্তা করেছিলাম! তিনি কেবল একজন পিয়ন বা ড্রাইভার ছিলেন না, তিনি আমার চোখে দেখা একজন সত্যিকারের ভালো মানুষ। দোয়া ও শ্রদ্ধানিবেদন শেষে উনাদের সাথে খুলনায় ফিরছিলাম সেদিন। আমার বই-খাতা, জিনিসপত্র নিয়ে আসার জন্য।
“অভাগা যেদিকে তাকায়, সাগর শুকিয়ে যায়”- নিজেকে তখন ঐ একটি ব্যাপারে আমার অভাগার মতো মনে হতো। খুলনা বিএল কলেজে ভর্তি হবার পর থেকে একটি নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য কত দুরূহ পথ যে অতিক্রম করতে হয়েছে, সৃষ্টিকর্তা কেবল ভালো জানেন। কখনও মনোবল হারাইনি, সাহস পেতাম কারণ আব্বা চরম ধৈর্য্য নিয়ে আমার জন্য শেষ পর্যন্ত সাধ্যমত চেষ্টা করে গেছেন।
কিছুদিন পর খোঁজ নিয়ে জানা গেল, বিএল কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক নজরুল ইসলাম স্যারের বাসা বাগেরহাটে। শুধু তাই নয় তিনি আমার স্কুলশিক্ষক সেলিনা আপার হাজব্যন্ড অর্থাৎ আব্বার সহকর্মীর হাজব্যন্ড। সেলিনা আপার বড় মেয়ে পিয়া আমার সাথে পড়তো। ছোট মেয়ে তানিয়া বিএল কলেজে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয়েছে। কলেজের পাশে একটা বাসা ভাড়া নিয়ে তানিয়াসহ আরও কয়েকজন মেয়ে একসাথে থাকে। সেখানেই আমার সাময়িকভাবে থাকার একটা ব্যবস্থা করলেন নজরুল স্যার। সেই সাথে আব্বাকে কথাও দিলেন, মেয়েদের হল চালু হলে তিনি আমার সিটের ব্যাপারে সাহায্য করবেন।
মেসে থাকার ব্যাপারে আব্বার প্রবল আপত্তি সময়ের কাছে পরাজিত হলো। বাসাটা (সম্ভবত নাম ছিল “আফরোজা ভবন”) কলেজ ক্যাম্পাসের খুব কাছে এবং ঐ কলেজের-ই একজন শিক্ষকের বাসা হওয়ায় তিনি আর না করেননি। তবে আমার কোথাও কোন সমস্যা হয়নি, সবখানেই মিশে যেতে পারতাম। ঐ বাসায় অল্প কিছুদিনের অভিজ্ঞতাও বেশ আনন্দের ছিল।
আফরোজা নামে অতিধার্মিক একটা মেয়ে ছিল, সে সবাইকে নামাজ পড়ার তাগাদা দিত। খাওয়া-দাওয়ার হিসাব বেশিরভাগ সময় সে-ই করতো। পলি আপা বাগেরহাটের মেয়ে, আমাদের খুব কাছাকাছি বাসা ছিল, আমার এক বছরের সিনিয়র ছিলেন, বড় বোনের মতোই আদর করতেন। এখনও আপার সাথে যোগাযোগ আছে। সবচেয়ে মজার চরিত্র ছিল ‘রেশনা’। কোথাও কোন টিকটিকি দেখা গেলে তার আর রক্ষা নেই, যেভাবে হোক সেটাকে ধরে আনতো। তারপর অনেকক্ষণ টিকটিকির সাথে খেলা, খসেপড়া লেজ নিয়ে আমাদের ভয় দেখানো, এগুলো ছিল তার নিত্যদিনের কাজ। বেশি রাতে লাইট জ্বালিয়ে রাখা, অতিরিক্ত শব্দ করা- এসব বাড়িওয়ালা পছন্দ করতেন না। উনাকে ক্ষেপানোর জন্য রেশনা বেশি রাত করে জেগে থাকতো, মাঝরাতে এসে বলতো- জিনাপু, এসো তো, নাচ দেখবে। শুরু হতো নাচের প্র্যাকটিস।
মাঝেমাঝে বিকেলবেলা রেশনা রেডি হয়ে এসে বলতো, যাবে আমার সাথে? টিউশন খুঁজতে যাচ্ছি। আমি অবাক হয়ে বলতাম, এভাবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে কি ছাত্র পাওয়া যায়? আমার অনীহা দেখে হাসতে হাসতে ও বলতো, আরে ছাত্র না পাই, বিকেলের নাস্তাটা তো কোন বাসায় সেরে আসতে পারবো।
রেশনা’র বাবা অনেক আগে মারা যান। ছোটবেলা থেকে ওরা দুই বোন বেশ পরিশ্রমী ছিল। বড় বোন রোজী আপা তখন প্রশিকা এনজিওতে চাকরি করতেন, এখন তিনি বেশ বড় একটা কোম্পানীর মার্চেন্ডাইজার। রেশনাও ভালো চাকরি করে বলে শুনেছি। রেশনার মা প্রায়ই নড়াইল থেকে বস্তায় করে চাল-ডাল, চিড়া-মুড়িসহ অনেক জিনিস নিয়ে আসতেন। পড়াশোনার পাশাপাশি জীবনের প্রথম এবং শেষ (একমাত্র) মেসের সংক্ষিপ্ত সময়টাও বেশ আনন্দের ছিল।
অনার্স প্রথম বর্ষের একবারে শেষদিকে অগ্নিপরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে হলে সিট পেলাম, নিচতলার ১০৬ নম্বর কক্ষে৷ চারসিটের প্রতিটি রুম, চাহিদার তুলনায় আসন সংখ্যা ছিল সীমিত, তারমধ্যে একটু জায়গা পাওয়ায় নিজেকে বেশ সৌভাগ্যবান মনে হয়েছিল। মন্নুজান হলের নতুন একটি বিল্ডিংয়ের কাজ কেবল শেষ হয়েছে, ফার্নিচারও তৈরী হয়নি৷ প্রথম হল সুপার গুলনাহার বেগম আপা বললেন, “আপাতত তোমরা দু’হাত চওড়া একটা খাট নিয়ে এসে উঠে যাও।”
আব্বা খালিশপুর বাজার থেকে খাট কিনে আনলেন কিন্তু চারপাশে পালঙ্কের মত স্ট্যান্ড দেওয়া৷ হলের সবাই অবাক! এটা আবার কী? কেউ কেউ মুখ টিপে হাসাহাসি শুরু করলো। আমিও অপ্রস্তুত, আব্বা এটা কি করেছেন! কিন্তু আব্বা বেশ সিরিয়াস ভঙ্গিতে হল সুপারকে বললেন- ‘আমার মেয়েটা কখনও মশারি টানাতে চায় না, তাই আমি এভাবে একবারে প্রস্তুত করে এনেছি।’ মেয়েদের হলে স্বভাবতই পুরুষের প্রবেশ নিষেধ, সুপারের প্রবল আপত্তি দু’হাতে ঠেলে সেদিন আব্বা আমার হলে ঢুকে ওই স্ট্যান্ডে মশারি টানিয়ে দিয়ে গিয়েছিলেন৷
অনার্স প্রথম বর্ষে আমার চিকেন পক্স হলো৷ শরীরে তিল ধারণের জায়গা বাকি নেই৷ সারাদিন সংসারের কাজের শেষে মা খুব একটা সেবা করার সুযোগ পেতেন না৷ আব্বা তখন আমার হাতে-পায়ে প্রতিটি দানার উপর পরম যত্নে মাখন লাগিয়ে দিতেন৷ পরীক্ষার সময়গুলোতে রাত জেগে পড়াশুনা করতাম, না ঘুমানো পর্যন্ত বারান্দায় পায়চারী করতেন তিনি৷ কতদিন হলে দেখা করতে এসেছেন, আসার সময় মা হয়তো হাতে ধরিয়ে দিয়েছেন বাড়ির মুরগির ডিম, সেটাই পাঞ্জাবির পকেটে করে নিয়ে এসেছেন, এভাবে কতদিন…!
মা চলে যাবার পর আব্বা ঢাকায় আমাদের বাসায় বেশি সময় কাটিয়েছেন। ২০১৪ সালের কথা, ঈদের আগে আমাকে বললেন: ‘এবার আমার জন্য কিছু কিনতে হবে না’৷ কয়েকদিন পর নিজেই আবার বললেন: ‘তুমি তো দেখছি সবার জন্য অনেক কিছু কিনেছ, তাহলে আমাকে শুধু একটা স্যান্ডেল কিনে দিতে পারো, তবে পাঁচশ টাকার বেশি দাম যেন না হয়’৷
আমি খুশি হয়ে বাজার থেকে আরামদায়ক একটা স্যান্ডেল বাইশ’শ টাকা দিয়ে নিয়ে এলাম৷ সেটা পায়ে দিয়ে করিডোরের এমাথা ওমাথা হেঁটে হেঁটে বলছিলেন: ‘এত টাকা দিয়ে কেন আনতে গেলে? কিন্তু চোখ দুটো তাঁর আনন্দে জ্বলজ্বল করছিল, আমারও আনন্দে চোখে পানি এসেছিল সেদিন!’
শুধু কী তারাই আমাদের মনের কথা বুঝবে, আমরাও কী একটু বুঝতে পারি না? আব্বা চিরকালই অত্যন্ত সাধারণ জীবন যাপন করেছেন৷ আমরাও সেভাবে অভ্যস্ত হয়ে গেছি৷ “জীবনে অনেক কিছু পেয়েছি, নিজের জন্য আর কিছু চাই না, শুধু মৃত্যুর আগে জেনে যেতে চাই আমার মেয়েটা সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে গেছে”– আমার ক্যান্সার হয়েছে জানার পর এটাই ছিল আমার জন্য আব্বার শেষ চাওয়া৷
আজ প্রায় সাড়ে ছয় বছর হতে চললো তিনি না ফেরার দেশে চলে গেছেন৷ জীবনের বাস্তবতায় ভালো থাকার ভান করে ঘুরে বেড়াই ঠিকই কিন্তু বাবা-মা-হীন একটা পৃথিবীতে সত্যিই কি ভালো থাকা যায়? সারাদিনের ব্যস্ততা শেষে যখন নিজের মুখোমুখি হই, আর ভান করতে পারি না৷ বুকের ভেতর দগদগে ক্ষতগুলো কেবলই জ্বলতে থাকে৷ আদর করে আর কেউ বলে না- ‘জিনু, মা! আজ কি তোমার শরীরটা ভালো আছে?’
চলবে…